ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো--

 



Freelancing & freelancer 


যদি ফ্রিল্যান্সার হতে চান - আসুন একটু জেনে নেই কিভাবে--


ফ্রিল্যান্সিং নামটা শুনে হয়তো অনেকেই চোখ কপালে তুলে ভাবছেন, এসব তো প্রোগ্রামার, কম্পিউটার এক্সপার্টের কাজ। এসব জেনে আমাদের কি লাভ? শুনে অবাক হবেন, ফ্রিল্যান্সিং ব্যাপারটার সাথে এসবের তেমন সম্পর্কই নেই! হ্যাঁ, অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং ব্যাপারটায় এক্সপার্ট হতে হলে কম্পিউটার না্মক যন্ত্রটির সাথে ভালোই খাতির থাকা লাগে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে সিএসই থেকে ডিগ্রি থাকা লাগবে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্যে। ঘরে বসেই অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং শেখা সম্ভব। ব্যাপারটা খোলাসা করে বলা যাক।আপনার স্মার্ট ফোনটিই পর্যাপ্ত আপনাকে সফল ফ্রীল্যান্সার তৈরি করতে। 


ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং প্রথম শুরু হয়েছিলো ১৯৯৮ সালের দিকে। অনলাইনে একটা মার্কেটপ্লেস খোলা হয়েছিলো, সেখান থেকেই বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের শুরু। ব্যাপারটা বেশ মজাদার। ধরাবাধা অফিস টাইম নেই, যখন ইচ্ছে কাজ করলেই হলো! এই কাজ হতে পারে বিভিন্ন রকম। ওয়েব ডিজাইনিং থেকে শুরু করে গ্রাফিক ডিজাইনিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, বিষয়ভিত্তিক আর্টিকেল লেখা বা ডাটা এন্ট্রি হতে পারে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিষয়।অনলাইন মার্কেট প্লেসে রেফারেন্স /এফিলিয়েট মার্কেটিংও হতে পারে। এককথায় ইহা এক মহাসমুদ্র, আপনার দক্ষতাই এখানে আপনার কাজ ও আয় তৈরি করবে।


এখানে দুই পক্ষ থাকেন। ক্লায়েন্ট আর ফ্রিল্যান্সার। ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারকে বিভিন্ন কাজ দিয়ে থাকেন, আর একটা নির্দিষ্ট সময়ের (যেটি ফ্রিল্যান্সারের ইচ্ছেমতো নির্ধারণ করা হয়) মধ্যে কাজ শেষ করে ক্লায়েন্টকে পাঠিয়ে দিতে হয়। ক্লায়েন্টের সাথে কাজ শুরুর আগেই চুক্তি করা হয় পারিশ্রমিক নিয়ে। এককথায় চাকুরীতে একজনকে বেতন দিয়ে যে কাজ করানো হয় তা বর্তমানে ওপেন অনলাইন মার্কেট থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্টান ফ্রীল্যান্সার দ্বারা কাজটা করিয়ে নেন চুক্তিভিত্তিক।ফ্রীল্যান্সার কাজ করেন সেবা ও পণ্য নিয়ে। কাজ হয়ে গেলে, ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারকে তার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়। ব্যস, হয়ে গেল একটি সফল ফ্রিল্যান্সিং!

ফ্রী ল্যান্সিং এর সুবিধা হলো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অহেতুক বাড়তি কর্মচারী নিয়োগ এর ঝামেলা হতে মুক্তি দেয় আর ফ্রী ল্যান্সাররা নিজেদের সময় অনুযায়ী ঘরে বসেই আয় ও ক্যারিয়ার তৈরি।

No comments:

Post a Comment

Pages