ফ্রিল্যান্সিং-এর কাজ শুরু করবো কিভাবে?
যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার আছেন বা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে প্রথমেই একটি ব্যাপার মাথায় আসে আর সেটা হলো ফ্রিল্যান্সি-এর কাজ শুরু করবো কিভাবে! আসলেই আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষের ফ্রিল্যন্সিং নিয়ে এখনো পর্যাপ্ত ধারণা নেই। আর তাই তারা বিশ্বাস করতে পারেন না যে, ঘরে বসে আসলেই অনলাইনে উপার্জন আয় করা সম্ভব!
কিন্তু আসলেই বাংলাদেশের অনেক মানুষ ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করছেন, আর ফ্রিল্যান্সিং করে সফল হয়েছেন! তাই, অবশ্যই আমাদেরকে প্রথমে মাথায় রাখতে হবে, ফ্রিল্যান্সিং করেও উপার্জন করা যায়, এবং এই উপার্জন অন্য যেকোন ২০ টা চাকরির থেকে নেহাত কম নয়! আর এই কারনে প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত তারা ধীরে ধীরে ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন এবং ফ্রিল্যান্সিং করতে চাচ্ছেন। কিন্তু নতুন দের ক্ষেত্রে সব থেকে বড় বাধা হলো, তারা প্রথমে বুঝতে পারে না যে আসলে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হয় কিভাবে। আজকের এই ব্লগে আমরা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার খুঁটিনাটি বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
ফ্রিল্যান্সিং-এর কাজ করার জন্য কী কী প্রয়োজন:
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে আবশ্যই আপনাকে basic কিছু ব্যাপার নিশ্চিত করতে হবে। freelancing শুরু করার জন্য যে বিষয় গুলো আপনার দরকার পড়বে তা হলোঃ
- কম্পিউটার
- ইন্টারনেট কানেকশন
- English এ পর্যাপ্ত দক্ষতা
- কাজের প্রতি দক্ষতা
প্রশ্ন করতে পারেন, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব কিনা? আসলে, মোবাইল দিয়ে আপনি প্রোফেশনাল ভাবে কোন কাজ করতে পারবেন নাহ! কারণ, মোবাইলে যদি কাজ কম্পিউটারের কাজ করা যেত, তাহলে মানুষ আর কম্পিউটার কিনত না, সবাই মোবাইল কিনতেন। আসলে, মোবাইলের ডিসপ্লে ছোট, ফাংশন কম, এক সাথে একাধিক কাজ করা সীমাবদ্ধতা, স্টোরেজ কম, ইত্যাদি কারণে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের প্রোফেশনাল কোন কাজ করা যায় না! তাই কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সর্বপ্রথম ধাপ হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট বিষয় বেছে নেওয়া! মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি জব সেক্টর। আর একটি জব সেক্টরে অনেক ধরনের কাজ থাকে।
আপনি যদি শিক্ষকতা পেশার দিকে তাকান তাহলে দেখতে পাবেন, আমাদের স্কুল কলেজে বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষক থাকেন। যিনি physics বা পদার্থবিজ্ঞনের শিক্ষক, তিনি শুধু physics পড়ান, যিনি chemistry বা রসায়নের শিক্ষক, তিনি রসায়ন পড়ান। একই ভাবেঃ
- ICT এর শিক্ষক ICT পড়ান।
- Math বা অংক এর শিক্ষক অংক করান
- English এর স্যার English পড়ান।
- Accounting এর শিক্ষক শুধুমাত্র accounting পড়ান, ইত্যাদি।
অর্থাৎ একজন শিক্ষক তিনি ওই একটি বিষয়ে বেশ দক্ষ আর তাই তিনি ওই একটি বিষয় পড়িয়ে থাকেন। একই ভাবে মার্কেটপ্লেসে কাজের ক্ষেত্রেও আপনাকে একটি নির্দিষ্ট কাজ বেছে নিতে হবে। মার্কেটপ্লেসে চাহিদা আছে এমন কতগুলো সেক্টর হচ্ছেঃ
- Web Development – ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- Graphics Design – গ্রাফিক্স ডিজাইন
- SEO – এসইও
- Digital Marketing – ডিজিটাল মার্কেটিং
- Facebook Marketing – ফেসবুক মার্কেটিং
- Affiliate Marketing – এফিলিয়েট মার্কেটিং
- CPA marketing – সিপিএ মার্কেটিং
- Content writing – কন্টেন্ট রাইটিং
- Video editing – ভিডিও এডিটিং
- Data Entry – ডাটা এন্ট্রি
- Virtual assistant – ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট, ইত্যাদি
আসলে মার্কেটপ্লেসে এত এত কাজ রয়েছে যা আমাদের কল্পনারও বাইরে। তাই, আমাদেরকে প্রথমে একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিতে হবে। আর এই বিষয় টি বেছে নেওয়াও অনেক কঠিন একটি কাজ! কেননা, আপনি এই সেক্টরে যদি সম্পুর্ণ নতুন হয়ে থাকেন, তাহলে বুঝে শুনে আপনার আগ্রহের দিক বেছে নিয়ে কাজ করাটা একটু কষ্ট হয়ে যাবে স্বাভাবিক!
বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত যেসব ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস রয়েছে তা হলোঃ

No comments:
Post a Comment